ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

দুইপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

চকরিয়ায় স্কুলের সড়কের উপর অর্তকিত স্থাপনা নির্মাণ, চলাচল দুর্ভোগে শিক্ষাথীরা

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট আইডিয়েল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সড়কের উপর অর্তকিত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সড়ক দিয়ে চলাচল দুর্ভোগে পড়েছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়কের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে গেলে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি অবনতির দিকে গড়ালে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইপক্ষকে নিবারণ করতে সক্ষম হন।
বুধবার (১৫ ফ্রেরুয়ারী) দুপুর ১২টার উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট আইডিয়েল স্কুলের সীমানাপ্রাচীর এলাকায় এঘটনা ঘটে।

মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের উত্তরপাশের সীমানা লাগোয়া চলাচল পথটি পাশের বাসিন্দা প্রবাসী মনির আহমদের পরিবার তাদের জায়গা দাবি করে দখলে নিয়ে কিছুদিন আগে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এই অবস্থার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের বাড়ী-ঘরের লোকজন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আবার অনেক পরিবারের লোকজন স্কুলের মাঠের উপর দিয়ে দিবারাত্রি চলাচল করছে।

তিনি বলেন, স্কুলের খেলার মাঠ দিয়ে সর্বসাধারণের অবাধ চলাচলের কারণে বর্তমানে স্কুলের পরিবেশ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলমকে অবহিত করি। পরে তিনি দুইপক্ষকে ডেকে নিয়ে কথা বলে সীমানা ঠিক করে দেন। কিন্তু প্রবাসী মনির আহমদের পরিবার এমপির সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্কুলের রাস্তাটি দখলে নিয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক আরও বলেন, চলাচল দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চলাচল পথের অপসারণ করতে গেলে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন দা, লোহার রড ও কাঠের বাটাম নিয়ে সবাইকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্য ধাওয়া করে। একপর্যায়ে আমরা মালুমঘাট বাজারে পালিয়ে যাই। পরে বিষয়টি চকরিয়া থানার ওসিকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্কুল কতৃপক্ষের বক্তব্যের বিরোধিতা করে মালুমঘাট বাজারপাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী মনির আহমদের স্ত্রী শাহিদা আকতার বলেন , আমরা স্কুলের সীমানা সংলগ্ন দখলীয় জায়গা ক্রয় করে দেড়যুগ ধরে বসবাস করে আসছি। তবে, দীর্ঘদিন ধরে আমার বসতভিটা থেকে কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে বলে আসছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক। মুলত তার কথামতো ছেড়ে না দেওয়ায় তিনি বুধবার দুপুরে বহিরাগত লোক এনে আমার বসতভিটার সীমানার পাঁকা খুঁটি আর কিছু ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে। এসব দেখে আমি প্রতিবাদ করেছি। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়িভিটায় তারা হামলা করেছে।

শাহিদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের লোকজন দুইমাস আগে থেকে জায়গার বিপরীত আমার কাছে টাকা দাবি করে আসছে ।যদি তাদের কথামতো টাকা দিতাম তাহলে আজ এ ঘটনা হতো না।

চকরিয়া থানার ওসির নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন চকরিয়া থানার এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ দল। এসআই মেহেদী হাসান বলেন, স্কুলের সঙ্গে বাড়িভিটার সীমানা বিরোধে মুলত ঘটনার সুত্রপাত। আমি ঘটনাস্থল গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি দুইপক্ষকে কাগজপত্র সহ থানায় এসে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

পাঠকের মতামত: